প্রবেশ ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে পণ্যবাহী ট্রেইলার, প্রাইম মুভার, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক এবং সিঅ্যান্ডএফ শ্রমিকদের যৌথ কর্মবিরতির ফলে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। টানা পাঁচ দিন ধরে বন্দর থেকে সব ধরনের পণ্য ও কনটেইনার আনা-নেওয়া পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

ভারী গাড়ি প্রবেশের ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করার প্রতিবাদে ট্রেইলার, প্রাইম মুভার, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিকদের কর্মবিরতি গত ১৫ অক্টোবর থেকে চলছে। এর সঙ্গে আজ নতুন করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরাও চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরের সবগুলো গেট বন্ধ রয়েছে এবং কোনো গাড়ি বন্দরে প্রবেশ করছে না। নিত্যদিনের মতো বন্দরের গেটগুলোতে ট্রাক কিংবা কাভার্ডভ্যানের কোনো জটলা নেই। অধিকাংশ ট্রেইলার বন্দরের বাইরে পার্কিংয়ে বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম প্রাইমমুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন ডেইলি সানকে জানান, দুপুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বন্দর চেয়ারম্যানের বৈঠক হলেও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি

তিনি আরও বলেন, ‘বন্দর চেয়ারম্যান আশা দিয়েছেন। কিন্তু এখনো চুড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, কর্মবিরতি বা ধর্মঘট নয়, প্রাইমমুভার মালিকরা ৫৭ টাকার পাস ২৩০ টাকা করায় গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন। সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও শ্রমিকরা সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন।

প্রাইমমুভার মালিকদের ট্রেইলার চলাচল বন্ধ রাখা এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তাদের আশঙ্কা, এই অচলাবস্থা চলতে থাকলে বন্দরের কার্যক্রমে ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে। তারা দ্রুত নতুন ট্যারিফ নিয়ে সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার বিভিন্ন সেবায় অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপের প্রতিবাদে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় ফোরামের আহ্বায়ক আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ট্যারিফ সমস্যার সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে।