প্রিন্টঃ ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ক্ষতির শিকার বিনিয়োগকারীরা।
ডেইলি সান রিপোর্ট, ঢাকা
প্রকাশঃ ২৮ অক্টোবর ২০২৪
শেয়ার করার বিকল্পগুলি
শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ক্ষতির শিকার বিনিয়োগকারীরা। দরপতন ঠেকাতে ফোর্স সেল দ্রুত বন্ধ করা ও অভিহিত মূল্যের নিচের শেয়ারের জন্য বাইব্যাক আইন চালু করাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাদী ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা। এসময় বিগত চার মাসের মধ্যে গত রোববার সূচক সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায় পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকালে তারা বলেন, ২০১০ সালেও আমরা এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যা গত আড়াই মাসে হয়েছি। ২০১০ সালের শেয়ারের দাম কমে ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে শেয়ারের দাম ফেসভ্যালু ১০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। এতে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।
বিনিয়োগকারীরা বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ঠিক মতো জীবন-যাপন করতে পারছি না। সরকারের কাছে আকুল আবেদন পুঁজিবাজারের ২০ লাখ বিনিয়োগকারীকে বাঁচান। কারণ ২০ লাখ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রায় এক কোটি মানুষ সম্পর্কিত।
বিক্ষোভকারীরা দরপতন ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। অথচ পুঁজির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। তারা বলেন, বিনিয়োগকারীরা রাজপথে থাকতে চান না। কিন্তু সরকার এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘পতন ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায়’ বাধ্য হয়ে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে যে দরপতন হচ্ছে, তা অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক। বিনিয়োগকারীদের চরম আস্থাহীনতার কারণে এই দরপতন হচ্ছে। সরকার ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই দরপতন থামছে না।
তবে শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে গতকালই চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। পাশাপাশি পরিস্থিতির উত্তরণে করণীয় বিষয়েও সুপারিশ করবে এ কমিটি। ১০ দিনের মধ্যে কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
শেয়ার করার বিকল্পগুলি
শেয়ার বাজার থেকে আরও
শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ক্ষতির শিকার বিনিয়োগকারীরা।
ডেইলি সান রিপোর্ট, ঢাকা
Published: ২৮ অক্টোবর ২০২৪
শেয়ার করার বিকল্পগুলি
সোমবার ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাদী ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা। ছবি: সংগৃহীত
শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ক্ষতির শিকার বিনিয়োগকারীরা। দরপতন ঠেকাতে ফোর্স সেল দ্রুত বন্ধ করা ও অভিহিত মূল্যের নিচের শেয়ারের জন্য বাইব্যাক আইন চালু করাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাদী ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা। এসময় বিগত চার মাসের মধ্যে গত রোববার সূচক সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায় পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকালে তারা বলেন, ২০১০ সালেও আমরা এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যা গত আড়াই মাসে হয়েছি। ২০১০ সালের শেয়ারের দাম কমে ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে শেয়ারের দাম ফেসভ্যালু ১০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। এতে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।
বিনিয়োগকারীরা বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ঠিক মতো জীবন-যাপন করতে পারছি না। সরকারের কাছে আকুল আবেদন পুঁজিবাজারের ২০ লাখ বিনিয়োগকারীকে বাঁচান। কারণ ২০ লাখ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রায় এক কোটি মানুষ সম্পর্কিত।
বিক্ষোভকারীরা দরপতন ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। অথচ পুঁজির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। তারা বলেন, বিনিয়োগকারীরা রাজপথে থাকতে চান না। কিন্তু সরকার এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘পতন ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায়’ বাধ্য হয়ে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে যে দরপতন হচ্ছে, তা অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক। বিনিয়োগকারীদের চরম আস্থাহীনতার কারণে এই দরপতন হচ্ছে। সরকার ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই দরপতন থামছে না।
তবে শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে গতকালই চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। পাশাপাশি পরিস্থিতির উত্তরণে করণীয় বিষয়েও সুপারিশ করবে এ কমিটি। ১০ দিনের মধ্যে কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।



