প্রিন্টঃ ২৬ অক্টোবর ২০২৫
মিয়ানমার ও ভারত থেকে এলো ৩৭ হাজার টন চাল
ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। এ চাল আমদানি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
ডেইলি সান রিপোর্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশঃ ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
শেয়ার করার বিকল্পগুলি
ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। এ চাল আমদানি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জি টু জি ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এটিএন ভিক্টরি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
এছাড়া উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা ১৫ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি বিএমসি প্যানডোরা।
উভয় দেশ থেকেই খাদ্য অধিদফতর চাল আমদানি করেছে জানিয়ে ইমদাদ ইসলাম বলেন, দ্রুতই জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের চালের বাজারে অস্থিরতা নিরসনে চলতি বছর ৭ লাখ টন চাল আমদানি করার পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে সাড়ে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) এক লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। পরে আরও তিন লাখ টন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা হবে।
উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, প্রথম চালানের ২৭ হাজার টন ইতিমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। এই মাসের শেষের দিকে আরও একটি চালান আসবে। পাকিস্তান থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হবে। ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে এক লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার আমন মৌসুমে সরকারের ধান সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল সাড়ে তিন লাখ টন। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ২৭ টন। সিদ্ধ চাল সাড়ে পাঁচ লাখ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ করা হয়েছে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ টন। এক লাখ টন আতপ চালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৬০৬ টন। সব মিলিয়ে ১০ লাখ টনের বিপরীতে তিন লাখ ২৩ হাজার ৩৫ টন ধান-চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। ২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ছয় লাখ ৩৩ হাজার টন, ২০২২ সালে ছয় লাখ ৮৩ হাজার টন, ২০২১ সালে পাঁচ লাখ ৭২ হাজার টন চাল। এ বছর উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করা হবে।
এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে জিটুজি বা সরকারি পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এক লাখ টন চাল আমদানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করতে আলোচনা চলছে। আলোচনা চলছে ভারতের সঙ্গেও। জিটুজির বাইরে মিয়ানমার থেকে উন্মুক্তভাবে ৭৫ হাজার টন চাল আসবে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি কেজি চিকন চাল ৭০ থেকে ৮৪ টাকায়, মোটা চাল ৫৪-৫৮ টাকায় এবং মাঝারি চাল ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, গত এক মাসে চিকন চালের দাম ৪ দশমিক ০৫ শতাংশ, মাঝারি মানের চালের দাম ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। গত এক বছরে চিকন চালের দাম ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ, মাঝারি চালের দাম ১৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে।
শেয়ার করার বিকল্পগুলি
নিত্যপণ্য থেকে আরও
মিয়ানমার ও ভারত থেকে এলো ৩৭ হাজার টন চাল
ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। এ চাল আমদানি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
ডেইলি সান রিপোর্ট, চট্টগ্রাম
Published: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
শেয়ার করার বিকল্পগুলি
ছবি: সংগৃহীত
ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। এ চাল আমদানি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জি টু জি ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এটিএন ভিক্টরি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
এছাড়া উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা ১৫ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি বিএমসি প্যানডোরা।
উভয় দেশ থেকেই খাদ্য অধিদফতর চাল আমদানি করেছে জানিয়ে ইমদাদ ইসলাম বলেন, দ্রুতই জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের চালের বাজারে অস্থিরতা নিরসনে চলতি বছর ৭ লাখ টন চাল আমদানি করার পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে সাড়ে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) এক লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। পরে আরও তিন লাখ টন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা হবে।
উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, প্রথম চালানের ২৭ হাজার টন ইতিমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। এই মাসের শেষের দিকে আরও একটি চালান আসবে। পাকিস্তান থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হবে। ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে এক লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার আমন মৌসুমে সরকারের ধান সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল সাড়ে তিন লাখ টন। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ২৭ টন। সিদ্ধ চাল সাড়ে পাঁচ লাখ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ করা হয়েছে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ টন। এক লাখ টন আতপ চালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৬০৬ টন। সব মিলিয়ে ১০ লাখ টনের বিপরীতে তিন লাখ ২৩ হাজার ৩৫ টন ধান-চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। ২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ছয় লাখ ৩৩ হাজার টন, ২০২২ সালে ছয় লাখ ৮৩ হাজার টন, ২০২১ সালে পাঁচ লাখ ৭২ হাজার টন চাল। এ বছর উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করা হবে।
এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে জিটুজি বা সরকারি পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এক লাখ টন চাল আমদানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করতে আলোচনা চলছে। আলোচনা চলছে ভারতের সঙ্গেও। জিটুজির বাইরে মিয়ানমার থেকে উন্মুক্তভাবে ৭৫ হাজার টন চাল আসবে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি কেজি চিকন চাল ৭০ থেকে ৮৪ টাকায়, মোটা চাল ৫৪-৫৮ টাকায় এবং মাঝারি চাল ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, গত এক মাসে চিকন চালের দাম ৪ দশমিক ০৫ শতাংশ, মাঝারি মানের চালের দাম ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। গত এক বছরে চিকন চালের দাম ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ, মাঝারি চালের দাম ১৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে।



