Logo
×

Follow Us

নিত্যপণ্য

রমজানে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি: খাদ্য উপদেষ্টা

আসন্ন রমজানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মোট তিন লাখ টন চাল দেওয়া হবে। ঈদের সময় ১ কোটি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে বিনামূল্যে।

ডেইলি সান রিপোর্ট, ঢাকা

Published: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রমজানে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি: খাদ্য উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

শুনুন | ৮:৪৮ মিনিট

আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় অত্যন্ত সুলভ মূল্যে প্রায় তিন লাখ টন চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, আসন্ন রমজান সামনে রেখে মার্চ এবং এপ্রিল এ দুই মাসে দেড় লাখ টন করে মোট তিন লাখ টন চাল দেওয়া হবে। এছাড়াও ৩০ টাকা কেজি দরে ১৫ কেজি করে এ কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবার চাল পাবে। ঈদের সময় ১ কোটি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে বিনামূল্যে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রথম অধিবেশন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দুই মন্ত্রণালয়ের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসে বিশাল পরিমাণ খাদ্যশস্য অত্যন্ত সুলভ মূল্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। সে কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, টিসিবির মাধ্যমে আরও ৫০ লাখ টন করে দুই মাসে ১ লাখ টন চাল যাবে। ওএমএসের মাধ্যমে যাবে আরও ১ লাখ টন। এ ছাড়া ঈদের সময় ১ কোটি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে বিনামূল্যে। এমন আরও কিছু কার্যক্রম রয়েছে।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, এসব চাল বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে বড় সহায়তা করবে। এসব বিতরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ করবে কিন্তু এর প্রধান তদারকি করবেন ডিসিরা। এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটনে এসব কার্যক্রম আগে নিবিড়ভাবে তদারকি হতো না। আমরা ঢাকার সংশ্লিষ্টদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছি বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিভাগের কমিশনারের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি, আবারো মিটিং করবো। এ বিভাগের যে ১২২টি বিক্রয় কেন্দ্র এবং ৭০টি ট্রাকসেল আছে। টিসিবি ছাড়াও প্রয়োজনে সেগুলো ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদারকি করতে বলেছি।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ ই-নামজারির কাজ শেষ হবে অর্থাৎ জমির নামজারির জন্য ৮০ শতাংশ ডিজিটালের কাজ শেষ হবে।

জমির নামজারি (মিউটিশন) করাও ডিজিটাল পদ্ধতির কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভূমির কাগজপত্রের কাজ নিয়ে মানুষের হয়রানি বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। জেলা প্রশাসকরা যাতে এ কাজে সহায়তা করেন সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আরও পড়ুন