প্রিন্টঃ ২৬ অক্টোবর ২০২৫
হালাল পণ্যের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের রিমার্ক
বৈশ্বিকভাবে হালাল কসমেটিকসের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
ডেইলি সান রিপোর্ট
প্রকাশঃ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শেয়ার করার বিকল্পগুলি
মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস (মিহাস) ২০২৫- এ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি লিমিটেড অংশগ্রহণ করেছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই হালাল পণ্য প্রদর্শনীতে রিমার্কের তৈরি পণ্য দেখে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মত শাহানারা মনিকা এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) মহাপরিচালক-১ বেবী রাণী কর্মকার।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মেলা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধনের সময় রিমার্কের পণ্যের মান এবং আধুনিক প্যাকেজিং দেখে তারা ভূয়সী প্রশংসা করেন। দেশের প্রথম হালাল সার্টিফায়েড কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার প্রস্তুতকারক হিসেবে রিমার্ক এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক হালাল শিল্পে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছে।
রিমার্কের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো যেমন- লিলি, নিওর, সিওডিল, হারল্যান, স্কিনমিন্ট, অরিক্স, ক্যাভোটিন, একনল এবং ডার্মাইউ-এর হালাল সার্টিফায়েড দুই শতাধিক পণ্য এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এসব পণ্য বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে খ্যাতি লাভ করেছে।
রিমার্কের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদুল ইসলাম জানান, রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ, রিমার্ক এইচবি লিমিটেড, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিজনেস ইউনিট এবং হারল্যান নিউ ইয়র্ক কোম্পানি লিমিটেড (থাইল্যান্ড)-এর যৌথ উদ্যোগে তারা এই মেলায় অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উদ্বোধনী দিনেই আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা আমাদের পণ্যে আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং আমরা আশা করছি মেলা থেকে উল্লেখযোগ্য রপ্তানি আদেশ পাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ব্র্যান্ডগুলো দেশের ভেতরে সর্বস্তরের ভোক্তার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই অংশগ্রহণ। বাংলাদেশে উৎপাদিত বৈশ্বিক মানের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরা আমাদের উৎপাদন খাতের সুনামকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’
বৈশ্বিকভাবে হালাল কসমেটিকসের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এটি শুধু মুসলিমদের মধ্যেই নয়, এর নিরাপদ ও নৈতিক গুণাবলীর কারণে অ-মুসলিমদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা লাভ করছে। হালাল পণ্যের বিশ্ববাজার প্রতি বছর ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রিমার্ক ইতিমধ্যেই সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়া এবং আজারবাইজানে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
রাশেদুল ইসলাম আরও জানান, থাইল্যান্ডের বাজারেও বাংলাদেশে উৎপাদিত তাদের কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এই প্রদর্শনী থেকে নতুন রপ্তানি আদেশ পেলে তা বাংলাদেশের কসমেটিকস শিল্পের জন্য একটি নতুন মাইলফলক হবে। মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈশ্বিক হালাল বাজারে প্রবেশ করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
মালয়েশিয়ার বহিমুখী বাণিজ্য উন্নয়ন করপোরেশন (ম্যাট্রেড) জানিয়েছে, এবারের মিহাস ২০২৫-এ বাংলাদেশসহ ৮০টি দেশের ১০১৯টি কোম্পানির ২ হাজার ৩৮০টি বুথ রয়েছে। আয়োজকরা প্রায় ৪৫ হাজার দর্শনার্থীর উপস্থিতি আশা করছেন। এই ইভেন্টে হালাল খাদ্য, ওষুধ, ফ্যাশন, প্রসাধনী, পর্যটন এবং ইসলামিক ফাইন্যান্সসহ বিভিন্ন খাতের পণ্য ও সেবা প্রদর্শিত হচ্ছে।
ম্যাট্রেডের মতে, মিহাস ২০২৫ শুধুমাত্র একটি প্রদর্শনী নয়, এটি বৈশ্বিক হালাল শিল্পে মান, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। গত বছর মিহাস ৪.৩ বিলিয়ন রিঙ্গিতের রেকর্ড পরিমাণ বিক্রয় করেছিল।
শেয়ার করার বিকল্পগুলি
কর্পোরেট থেকে আরও
হালাল পণ্যের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের রিমার্ক
বৈশ্বিকভাবে হালাল কসমেটিকসের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
ডেইলি সান রিপোর্ট
Published: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শেয়ার করার বিকল্পগুলি
ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস (মিহাস) ২০২৫- এ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি লিমিটেড অংশগ্রহণ করেছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই হালাল পণ্য প্রদর্শনীতে রিমার্কের তৈরি পণ্য দেখে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মত শাহানারা মনিকা এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) মহাপরিচালক-১ বেবী রাণী কর্মকার।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মেলা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধনের সময় রিমার্কের পণ্যের মান এবং আধুনিক প্যাকেজিং দেখে তারা ভূয়সী প্রশংসা করেন। দেশের প্রথম হালাল সার্টিফায়েড কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার প্রস্তুতকারক হিসেবে রিমার্ক এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক হালাল শিল্পে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছে।
রিমার্কের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো যেমন- লিলি, নিওর, সিওডিল, হারল্যান, স্কিনমিন্ট, অরিক্স, ক্যাভোটিন, একনল এবং ডার্মাইউ-এর হালাল সার্টিফায়েড দুই শতাধিক পণ্য এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এসব পণ্য বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে খ্যাতি লাভ করেছে।
রিমার্কের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদুল ইসলাম জানান, রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ, রিমার্ক এইচবি লিমিটেড, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিজনেস ইউনিট এবং হারল্যান নিউ ইয়র্ক কোম্পানি লিমিটেড (থাইল্যান্ড)-এর যৌথ উদ্যোগে তারা এই মেলায় অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উদ্বোধনী দিনেই আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা আমাদের পণ্যে আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং আমরা আশা করছি মেলা থেকে উল্লেখযোগ্য রপ্তানি আদেশ পাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ব্র্যান্ডগুলো দেশের ভেতরে সর্বস্তরের ভোক্তার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই অংশগ্রহণ। বাংলাদেশে উৎপাদিত বৈশ্বিক মানের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরা আমাদের উৎপাদন খাতের সুনামকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’
বৈশ্বিকভাবে হালাল কসমেটিকসের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এটি শুধু মুসলিমদের মধ্যেই নয়, এর নিরাপদ ও নৈতিক গুণাবলীর কারণে অ-মুসলিমদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা লাভ করছে। হালাল পণ্যের বিশ্ববাজার প্রতি বছর ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রিমার্ক ইতিমধ্যেই সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়া এবং আজারবাইজানে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
রাশেদুল ইসলাম আরও জানান, থাইল্যান্ডের বাজারেও বাংলাদেশে উৎপাদিত তাদের কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এই প্রদর্শনী থেকে নতুন রপ্তানি আদেশ পেলে তা বাংলাদেশের কসমেটিকস শিল্পের জন্য একটি নতুন মাইলফলক হবে। মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈশ্বিক হালাল বাজারে প্রবেশ করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
মালয়েশিয়ার বহিমুখী বাণিজ্য উন্নয়ন করপোরেশন (ম্যাট্রেড) জানিয়েছে, এবারের মিহাস ২০২৫-এ বাংলাদেশসহ ৮০টি দেশের ১০১৯টি কোম্পানির ২ হাজার ৩৮০টি বুথ রয়েছে। আয়োজকরা প্রায় ৪৫ হাজার দর্শনার্থীর উপস্থিতি আশা করছেন। এই ইভেন্টে হালাল খাদ্য, ওষুধ, ফ্যাশন, প্রসাধনী, পর্যটন এবং ইসলামিক ফাইন্যান্সসহ বিভিন্ন খাতের পণ্য ও সেবা প্রদর্শিত হচ্ছে।
ম্যাট্রেডের মতে, মিহাস ২০২৫ শুধুমাত্র একটি প্রদর্শনী নয়, এটি বৈশ্বিক হালাল শিল্পে মান, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। গত বছর মিহাস ৪.৩ বিলিয়ন রিঙ্গিতের রেকর্ড পরিমাণ বিক্রয় করেছিল।



