ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় মাছ না ধরার আহ্বান জানিয়ে দ্বীপজেলা ভোলার মনপুরা উপজেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে জেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গত ৪ অক্টোবর থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চলাকালে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত না করতে মনপুরা উপজেলার জেলে এবং জেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. ফজলে রাব্বী, সহ-সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদ সহ বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। 

বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. ফজলে রাব্বি বলেন, গত বছরের নিষেধাজ্ঞার ফলে ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়তে পেরেছিল। এর ফলে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি জাটকা যুক্ত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। তাই এবারও যাতে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জেলেরা যেন ইলিশ  না ধরেন, এজন্য তাদের নিয়ে আমাদের বসুন্ধরা শুভসংঘের এই কর্মসূচি।

বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আজকের সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে জেলেদেরকে অভিযানকালীন সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত না করতে অনুরোধ জানিয়েছি।

সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামি বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় মনপুরায় মাছ না ধরা আহ্বান জানানোর জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা শাখার ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদ বলেন, সরকারের পাশাপাশি আমরাও জেলেদেরকে ইলিশ মাছ আহরণ না করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি, ভবিষ্যতেও আমাদের বসুন্ধরা শুভসংঘের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, ২২ দিনের ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান–২০২৫’ এ মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।