Logo
×

Follow Us

বসুন্ধরা শুভসংঘ

কুষ্টিয়ায় শুভসংঘের আয়োজনে লালনের দর্শন নিয়ে আলোচনা

আলোচনায় বক্তারা ফকির লালনকে ‘মানবতার এক অনন্য প্রতীক’ হিসেবে আখ্যা দেন।

ডেইলি সান রিপোর্ট

Published: ১৮ অক্টোবর ২০২৫

কুষ্টিয়ায় শুভসংঘের আয়োজনে লালনের দর্শন নিয়ে আলোচনা

ছবি: সংগৃহীত

শুনুন | ৮:৪৮ মিনিট

মরমি সাধক ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) কুষ্টিয়ায় এক আলোচনাসভার আয়োজন করে বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া শাখা। 

কুষ্টিয়া জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে লালনের জীবন, দর্শন ও মানবতাবাদী বার্তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক এবং শুভসংঘ কুষ্টিয়ার উপদেষ্টা তারিকুল হক তারিক।

আলোচনায় বক্তারা ফকির লালনকে ‘মানবতার এক অনন্য প্রতীক’ হিসেবে আখ্যা দেন। বক্তারা বলেন, জাত, ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে লালন আজীবন মানুষকে ভালোবাসার ও সাম্যের বার্তা দিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন মানবদরদি, সমাজ সংস্কারক ও আত্মদর্শনের পথপ্রদর্শক। বক্তারা লালনের গানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’- এই গানের মধ্য দিয়েই তিনি মানুষের সত্য রূপ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন।

আলোচনায় অংশ নেন কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম টুকু, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান মজু, সচেতন নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি শাহজাহান আলী, জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু, দৈনিক দেশের পত্র জেলা প্রতিনিধি আজিম পারভেজ এবং শুভসংঘের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তা আখতারসহ স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক তারিকুল হক তারিক বলেন, শৈশবে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় লালন নদীতে ভেসে এসে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় এসে পৌঁছান। সেখান থেকে বাউল মলম শাহ ও তার স্ত্রী মতিজান বিবি তাকে উদ্ধার করে সেবা করেন এবং পরবর্তী সময়ে লালন তাদের কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেন। মলম শাহ যদি তাকে নদী থেকে না তুলতেন, তবে আমরা লালন ফকিরকে পেতাম না, কুষ্টিয়াও ধন্য হতো না।

তিনি আরও বলেন, লালনের জন্মসাল নিয়ে মতভেদ থাকলেও তার মৃত্যুসংক্রান্ত তথ্য স্পষ্ট, ইংরেজি ১৮৯০ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি পরলোকগমন করেন।

মন্তব্য করুন

আরও পড়ুন